ভিডিও

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের নির্মাণ প্রকল্প-৮ এর ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন

এখন আটকে আছে শঠিবাড়িতে জমি জটিলতায়

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ১০:৪৮ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০১:২৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প-৮ এর আওতায় ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার অংশের কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হলেও জমি জটিলতার কারণে এখন আটকে আছে। জমি জটিলতায় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি এলাকার দেড়কিলোমিটার অংশে এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি প্রকল্প-৮এর কর্মকর্তারা। ফলে সময়মতো কাজ শেষ হবে কি না এই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।


টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ণ মোড় পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। কিন্ত করোনা, বন্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাজের গতি মন্থর হওয়ায় চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাসেস-২  প্রকল্প-৮ এর কর্মকর্তারা।

ঢাকা- রংপুর মহাসড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের (সাসেক-২)। সাসেক-২ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগা থেকে রংপুর নগরীর মডার্ণ মোড় পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কের ৮৫ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্ত মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড় বন্দর এলাকায় জমি জটিলতার কারণে দেড় কিলোমিটার অংশে কাজ শুরু কারা সম্ভব হয়নি। সেখানকার প্রায় ২২ একর জমি এখনও অধিগ্রহণ করা হয়নি।

এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, সেখানকার ভূমি মালিকদের অসহযোগিতার কারণে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হয়ছে। তবে সাসেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অচিরেই এই জটিলতা কাটিয়ে ওই এলাকায় কাজ শুরু করা হবে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের জায়গিরহাট ও মিঠাপুকুরে ওভারপাস নির্মাণ করায় সেখানকার যানজট নেই। শঠিবাড়ি ও বড়দরগায় ওভারপাসের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পায়রাবন্দের ইসলামপুর এলাকায় স্বয়ংক্রিয় টোল প্লাজার নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

সাসেক -২ কমকর্তা জানিয়েছেন, পীরগঞ্জের বড়দরগা থেকে রংপুর মডার্ণ মোড় পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কে ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পীরগঞ্জের বড়দরগা থেকে রংপুরের মডার্ণ মোড় পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার  কোটি টাকা।  এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৪০ একর। ৪ হাজার ৫৯৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, কৃষক, জমির মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে ৮৫৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের মূল চার লেনের প্রশস্থ রয়েছে ১৮ মিটারেরও বেশি। ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য যে দুই লেন রয়েছে তার প্রশস্থ হচ্ছে ১১ মিটার। এই সড়কে বড়দরগায় ৫৪ মিটার, শঠিবাড়িতে ৫৪ মিটার, মিঠাপুরে ৬৯ মিটার ও জায়গীরহাটে ৩০ মিটার আন্ডারপাস রয়েছে। এছাড়া ২৫ দশমিক ৫ মিটার মডার্ণ ব্রিজ ও ৬৭ দশমিক ১৫ মিটার দমদমা ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। বৈরাগীগঞ্জ ও পায়রাবন্দে দুটি ইউটার্ণ রয়েছে। মিঠাপুরের গড়েরমাথায় সংযোগ সড়ক ( ইন্টারসেকশন) রয়েছে।

সাসেক-২ প্রকল্প-৮ এর উপ-প্রকল্প ম্যানেজার  নাশিদ হাসান সিরাজী জানান, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুরের চার লেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হলে উরাঞ্চলের সাথে ঢাকার  যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটবে। এর পাশাপাশি গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা। প্রসারিত হবে ব্যবসা বাণিজ্য। এসব কর্মকান্ডে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান।

প্রসঙ্গত, এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ ২০১৯ সালের জুন শুরু হয়। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বন্যার কারণে প্রকল্পের কাজ মন্থর হয়ে পড়ে। এতে করে এক বছর কাজের মন্থর গতির কারণে পিছিয়ে যায়। এজন্য ২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS